avertisements
Text

বিরোধী দলে যারা আছে তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে অভ্যস্ত নয়-ইসমাইল হোসেন

| প্রকাশ: ১০ মে, বৃহস্পতিবার, ২০১৮ | আপডেট: ৩ মে, শুক্রবার, ২০২৪

ব্যাক্তিগত সফরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এসেছিলেন ঢাকা মহানগর(উঃ) যুবলীগের সাধারন সম্পাদক,ভৈরবের কৃতি সন্তান ইসমাইল হোসেন।এই সময় তিনি কথা বলেন স্বদেশ বার্তার সাথে।


স্বদেশ বার্তাঃ এই বছরেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। যুবলীগের পক্ষে আপনাদের কোন কর্মসূচী আছে কিনা?
ইসমাইল হোসেনঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন হিসাবে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সভা, সমাবেশ সহ বিভিন্ন ধরনের গণসংযোগমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বদেশ বার্তাঃ জনগন সুস্থ ভাবে ভোট দিতে পারবে কিনা এই বিষয়ে বিরোধীদল আশংকা প্রকাশ করে, আপনি এই আশংকাগুলোরে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

ইসমাইল হোসেনঃ বিরোধীদল তো বলবেই। আপনি যদি অতীতের দিকে যদি তাকান গণতন্ত্রের নমুনা তো এই না যে, গাছ কেটে ফেলা, মানুষ পোড়াই মারা, বাস ট্রাক পোড়ানো, মানুষের জানমালের ক্ষতি করা, পুলিশের উপর আক্রমন করা এইগুলাতো বাংলাদেশের মানুষ পত্র পত্রিকায় পড়ছি। অবরোধের পর অবরোধ দিয়ে রাখছে একাধারে ৯০ দিন অবরোধ দিয়া রাখছে। আমরা তো রাজপথে ছিলাম দেখছি জনগনের জানমাল রক্ষা করার জন্য আইন শৃংখলার পাশাপাশি আমরাও ছিলাম। সব সময় দেখেছি আপনারাও দেখছেন। এইগুলা তো জনগণের কল্যানে কোন কাজ না তো। গণতন্ত্রের মানে তো এই না। আন্দোলন সংগ্রাম করার অধিকার অবশ্যই আছে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এখন এই গণতন্ত্রের সুযোগে যদি মানুষের জানমাল ক্ষতি করে এই ধরনের কর্মসূচীতে তো সরকার অনুমতি দিতে পারে না। কারণ সরকারের তো দায়িত্ব আছে জনগণের নিরাপত্তা দেয়া, রক্ষা করা। সেই দৃষ্টি কোন থেকে আমি মনে করি যে বর্তমান যে বিরোধী দল আছে এরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে অভ্যস্ত না।

স্বদেশ বার্তাঃ আপনি তো ঢাকা সিটির উত্তরের সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন আমরা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে দেখি যুবলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হইতে সেইভাবে ইতিবাচক কোন কর্মকান্ড ঐ ভাবে চোখে দেখি না, আপনার মতামত কি ?।

ইসমাইল হোসেনঃ আমি বলি এটা তো একটা যুব সংগঠন, যুবক মানুষেরাই নেগেটিভ কাজগুলো করা এটা বয়স্ক লোক বা শিশু লোক করে না। এরা ভালোও করে খারাপও করে। কিন্তু আমি এটা হলফ দিয়া বলতে পারি এখন মিডিয়ায় যুবকলীগ নিয়া যেসব কথা লেখালেখি হয় আমি একজন যুবলীগের সেক্রেটারী হয়ে আমি বলতে চাই যে, যুব সংগঠনের যেই ধরণের নেতীবাচক কর্মকান্ডে জড়ানোর কথা তার চেয়ে অনেক বিতর্কের উর্ধ্ধে আছে। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর সময়ে এবং আমাদের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনে সবসময় এই যুবলীগ একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমার দৃষ্টিতে আন্দোলন সংগ্রামে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জংগীবাদের বিরুদ্ধে যুবলীগের কিন্তু একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা আছে। আপনিও লক্ষ্য করবেন যে ধরণের হওয়া উচিত দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়তো থাকতে পারে। এটাতো শিক্ষকদের মধ্যেও আছে। এটা সাংবাদিকদের মধ্যেও আছে। এটাতো আপনার ডাক্তারদের মধ্যেও আছে। এটাতো পুলিশের মধ্যেও আছে সবশ্রেণীর মধ্যেই আছে। দু একটি ঘটনা দিয়া সবকিছুকে বিবেচনা করা যায় না। একজন ডাক্তার অপরাধ করলেতো সমস্ত ডাক্তাররা দায়ী না। কেউ এরকম কোন কাজ করলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই।

স্বদেশ বার্তাঃ আপনাদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য দেখছি যে, চাকুরীর বয়স বাড়ানো উচিত? সরকারী চাকুরীতে যোগদানের আর কি? এবং উনি বেশ কয়েকটা স্টেটমেন্টও দিছেন । এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোন লবিং করতেছেন কিনা? বাংলাদেশের অনেক যুবকের স্বপ্ন চাকুরীতে ঢোকার একটা বয়স বাড়ানো হোক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকুরীর ক্ষেত্রে বয়সের কোন তারতম্য নেই যেটা বাংলাদেশে আছে। আপনার বক্তব্য কি?

ইসমাইল হোসেনঃ আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভায় আমরা এ বিষয়ে আমরা বলেছি যে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বয়সের তারতম্য না করে মেধার ভিত্তিতে যাতে চাকুরীতে যোগদান করতে পারে এটার জন্য বয়সটাকে উন্মুক্ত করার জন্য। আপনি জানেন আমাদের প্রিয় নেত্রী জনগনের আবেগকে সবসময় অনুধাবন করার চেষ্টা করেন। জনগনের চাহিদা, জনগনের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেন এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে উনি একটু পরিমানও পিছপা হন না। এটা ওনার বিবেচনায় রয়েছে।
স্বদেশ বার্তাঃ আমদের পত্রিকা সম্পর্কে কিছু বলুন
ইসমাইল হোসেনঃ এই পত্রিকা উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

avertisements